আসিফ তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘প্রেমের ব্যাপারে আমি খুব সেনসিটিভ। যে কোনো সলিড প্রেম দেখলেই পাশে থাকা আমার অভ্যাস। যাদের প্রেমের পক্ষে কাজ করি তাদের সংসার টেকা না টেকার দায়িত্ব আমার না। টিকে গেলে খুশি হই, ভেঙ্গে গেলে কষ্ট পাই। বহুদিন ধরে দেখছি বাংলাদেশি প্রেমিকদের টানে ভিনদেশি মেয়েরা ছুটে আসছেন। ভালবাসার ব্যাপার তো! ভালোই লাগছিল। বাংলাদেশের ছেলেরা বারবার প্রমাণ করেছে, প্রেমের প্রতি তারা বিশ্বস্ত। স্যালুট সফল প্রেমিকগণ।’
প্রেমিকাদের নিয়ে আসিফের মন্তব্য, ‘মেয়েদের ভালোবাসার ব্যাপারে আমার একটা ছোট অবজারভেশন আছে। তারা প্রেমও করবে, আবার অবুঝ প্রেমিকের সক্ষমতা নিয়ে ক্ষাণিক পরেই দ্বিতীয় অপশনের উপস্থিতি জানান দেবে। পাত্র রেডি, ফ্যামিলি থেকে চাপ আছে, হাতে সময় কম, এখন তুমি কী করবে ! সবাইতো আর আমার মত বীর প্রেমিক না, কেউ কেউ অসহায় প্রেমিকও হয়। ভালবাসার হিসাব নিকাশে খেই হারিয়ে ব্যর্থ প্রেমিকের খাতায় নাম লিখিয়ে বিরহবিধুর কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকে এই অভাগাগুলো।’
প্রেমকান্তের বিষয়ে আসিফ বললেন, ‘প্রেমকান্ত নামের ছেলেটা ভারতের তামিলনাড়ু থেকে বৈধ পথেই বরিশালে এসেছে প্রেমের টানে। এসেই মেয়েটার লোকাল-ফরেন প্রেমিক কোটায় অপমানিত হয়েছে। বাংলাদেশি প্রেমিকরা বিদেশি মেয়েদের সাথে সুন্দর সংসার করছে, অথচ তিন বছরের চলমান প্রেমে প্রেমকান্ত ধোঁকা খেয়ে গেল। জল যতই ঘোলা হউক না কেন, আমার দাবি প্রেমকান্তকে সম্মানজনকভাবে তার দেশে পাঠিয়ে দেয়া হোক। একজন সলিড প্রেমিকের পক্ষ নেয়া পুরুষ হিসেবে আমার দায়িত্ব।’
প্রেমকান্তের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে আসিফ লিখেছেন, ‘সরি প্রেমকান্ত, দেশে ফিরে যাও। আর মনে রেখো- বাংলাদেশের প্রেমিকরা মেয়েদের চেয়েও বহুগুণে সলিড প্রেমের ক্ষেত্রে। তুমি ভুল করেছো, সেটা সমস্যা না; ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবে এটাই আশা করি। তেলের দাম ব্যাপার না, প্রেমকাতুরে প্রেমকান্তের দলের জন্য ভালবাসা অবিরাম।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।